প্রবল বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে রিপ চাকমার পরিবারের অন্য সবাই মারা গেলেও মামার বাড়িতে থাকায় সে বেঁচে যায়। বাড়ি ফিরে এ দৃশ্য দেখে রিপ শোকে পাথর হয়ে যায়। এ সময় ছোট চাচা অনুপ চাকমা তাকে সান্ত্বনা দিয়ে নিজের সন্তানের মতো তার দেখাশোনার দায়িত্ব নেন। সংসারে শত অভাব থাকলেও তিনি রিপকে কিছুই বুঝতে না দিয়ে তাকে পিতামাতার মতো আগলে রাখেন।
অনু দশ বছরের ছেলে। নদীর এপার-ওপার সাঁতার দেয়া তার নিত্যদিনের ব্যাপার। যুদ্ধের সময় একটি যুদ্ধজাহাজ নাব্যতার অভাবে কূলে আসতে না পেরে মধ্যবর্তী স্থানে নোঙর করে। গ্রামের যদু ব্যাপারী গোপনে খাবার, খবরাখবর জাহাজে পৌঁছে দেয়। তাদেরকে গ্রামে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করে। অন্যদিকে ঐ গ্রামেরই ছলিম একথা জানতে পেরে অনুকে জাহাজে ডিনামাইট সেট করার পরামর্শ দেয়। অনু চতুরতা, সাহসিকতা ও দৃঢ়তার সাথে কাজটি করে জাহাজ উড়িয়ে দেয়।
এক সময় বাংলায় আট বছরে গৌরীদান প্রথা ছিল। তাও কুলীন কুল রক্ষার্থে 8 পাত্র যদি মৃত্যুপথযাত্রীও হয়, তবুও মাতা-পিতা কূল রক্ষার জন্য কন্যাকে সেই পাত্রের সাথে বিবাহ দিত। মনোরমার জীবনেও এরকম একটি ঘটনা ঘটেছিল। পাত্র বিয়ে করতে এসেছে হাঁপানি নিয়ে। মনোরমা এই দৃশ্য দেখে কনের সাজ রাগ করে ছিঁড়ে একাকী পালিয়ে যায়।